প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

আধুনিক ঢাকার কেন্দ্রস্থল ধানমন্ডি ১নং সড়কের দক্ষিণ পাশে ১০.৭ একর জমির উপর এ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এর আশেপাশে রয়েছে কয়েকটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পূর্বে ঢাকা টিচার্স কলেজ, পশ্চিমে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম), দক্ষিণে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ, আর একটু দক্ষিণে নিউমার্কেট।

 

১৯৬১ সালে স্কুলটিরে প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু হয়েছিল। তখন মোট ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৫৭ জন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সাল থেকে নবম-দশম শ্রেণি চালু হয় এবং ১৯৬৪ সালে এ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সে বছর মোট ৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রথম বিভাগে, ১৯ জন দ্বিতীয় বিভাগে এবং ০১ জন তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। এই প্রথম বছরেই ৫টি লেটারসহ ঢাকা বোর্ডে কৃতিত্বের সাথে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন দিলীপ কুমার সরকার।

 

১৯৯১ সালে প্রভাতি ও দিবা শাখা চালু করা হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৪০টি সেকশন আছে। প্রতি সেকশনের নাম দেওয়া হয়েছেঃ ক, খ, গ, ঘ। প্রভাতি শাখার নাম দেওয়া হয়েছে ক, খ। দিবা শাখার নাম দেওয়া হয়েছে গ, ঘ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ২+২=৪টি সেকশনে ভাগ করা হয়েছে। সর্বমোট ৪৪টি সেকশন আছে। (২০০৭ সালে বিশেষ নির্দেশে প্রথম শ্রেণিতে দিবা ও প্রভাতি অতিরিক্ত শাখায় ২টি সেকশনে (ঙ, চ) ছাত্র ভর্তি করা হয়।

 

২০০৭ সালে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখা নিয়ে একাদশ শ্রেণি চালু করা হয়। ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণি চালু করা হয়। ২০০৯ সালে প্রথম এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ঐ বছর প্রথম সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করে। ১৫১ জনের ছাত্রের মধ্য ১৪২ জন উত্তীর্ণ হয় এবং ১০টি জিপিএ-৫ সহ পাশের হার ছিল ৯৪.০৪।

 

এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড এত স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা সম্ভব নয়। ৫২ বছর আগে যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা অনেক বাধা বিপত্তির পথ অতিক্রম করে আজকের এই গৌরবদীপ্ত অবস্থানে এসে পৌছেছে। এর অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য। এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যে সকল সম্মানিত প্রধানশিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী ও এমএলএসএস এই বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধির জন্য নিরলস শ্রম দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন, তাদের কাছে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী ঋণী হয়ে আছে। এর অগ্রযাত্রা আরো গৌরবদীপ্ত হোক, দেশ-দেশান্তরে এর সুনাম আরো বৃদ্ধি হোক এটাই আমাদের একমাত্র কামনা। মহান সৃষ্টিকর্তা বিদ্যালয়ের এ চলার পথকে আরো গৌরবোজ্জ্বল করুন।